ডেইলি স্টার ‘স্যাড জার্নালিজম’-এর উদাহরণ সৃষ্টি করেছে: পররাষ্ট্র সচিব
March 21, 2011 Leave a comment
আমি অন রেকর্ড এ কথাগুলো বলতে চাই। গতকাল ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকায় লিবিয়া পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়া সফরে আমাকে নিয়ে যে সম্পাদকীয় বের হয়েছে এর আগে আমার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। আমার ভূঁড়ি নিয়ে কথা বলাও খুবই অন্যায় হয়েছে। এছাড়া আমি যা কিছু করেছি সবই করেছি শ্রদ্ধেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুখুকুর নির্দেশে। আমি এ নিয়ে পত্রিকার এডিটর চামবাজ এ আলা কেলানী মাহফুজ এর সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তা আপনাদের বলেছি। আপনারা কীভাবে এটি লিখতে পারেন? আমি ভূঁড়িওয়ালা হতে পারি কিন্তু লম্পট নই। লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে আমি সেখানে লুকিয়ে লুকিয়ে বেরিয়েছি। সরকার লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে কিছুই করেনি। এটি হরিবল, ভেরি স্যাড। আপনারা জানেন আমরা কতকিছু করেছি? আমরা ফোনে নিয়মিত শ্রমিকদের খোঁজ নিয়েছি। এমন কি মন্ত্রী দীপুখুকু ফোন করে তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার বুদ্ধি দিয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিবিয়া পরিস্থিত নিয়ে নিয়মিত বিফ্রিং করতে এসে ডেইলি স্টারের প্রতিনিধিকে লক্ষ্য করে সাংবাদিকদের তার ক্ষোভের কথা জানান।
মিজারুল কায়েস বলেন, আমি সংবাদ সম্মেলনে সকলকে বলতে চাই এটি একটি স্যাড জার্নালিজমের উদাহরণ। এটি দুর্ভাগ্যজনক, শেম জার্নালিজমঃ খুবই দুঃখজনক। মতি আর মাহফুজ এর ডেইলীস্টার আমাদের সাথে এইরকম বাটপারি করবে এবং চামে পেয়ে এইভাবে আমাদের পাছুতে বাঁশ দিবে এটা আমাদের অপ্রত্যাশিত ছিল।
মাহফুজ আনামকে ব্যক্তিগতভাবে ফোনও করেছি কিন্তু এর পরেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ ফোন ব্যাক করেনি। আমি তার আচরনে কান্নায় ভেংগে পড়ি। আমি ওকে আর কখনও ফোন করব না, না, না! আমরা আসলে বুঝতে ভূল করেছিলাম যে মাহফুজ আনাম কত বড় জাউড়া আর তার ঘাড়ে কয়টা মাথা। সে যে আসলে আমাদের চাইতেও বড় দালাল সেটা এখন বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।